আমাদের চোখের সামনে অর্থ উপার্জনের সহজ রাস্তা রয়েছে। সম্প্রতি যারা এই কাজে রয়েছে, তারা আগে থেকে বেশি লাভ করেছে। আপনি শুনলে হয়তো অবাক হবেন, তবে এটাই সত্যি – পাট চাষে এখনো অনেক পয়সা আছে। বিভিন্ন সমস্যার কারণে চাষিরা ছেড়ে দিয়েছে পাট চাস। তবে বর্তমানে পাট চাষকেও উৎসাহিত করছে সরকার। পাটের আবাদি জমি বৃদ্ধি ও কৃষকদের ভালো দাম দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার পাটের দাম বাড়িয়েছে।
পাট কয়েক বছরে বিগত সবচেয়ে উপকারী প্রাকৃতিক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। গম ও সর্ষে চাষের পরে মার্চ ও এপ্রিলের মধ্যে পাট বপন করা হয়। আপনি চাইলে এখন এই পাট চাস কাজ করে মোটা অংকের অর্থ উপার্জন করতে দেখতে পারেন।
জলবায়ু ও মাটি অনুযায়ী দেশে কিছু বিশেষ উৎপাদিত হয় ফসল। পাটও এসব ফসলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। পাট চাষ পূর্ব ভারতে কৃষকরা ব্যাপক হারে করেন। আসাম, বিহার, ওড়িশা, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ এবং মেঘালয় মধ্যে পাট উৎপাদনকারী রাজ্যগুলির রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ৬ শতাংশ পাটের দাম বাড়িয়েছে। এবার কৃষকদের আয় আগের থেকে বেশি হবে। পাট বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৫০ শতাংশই ভারত থেকে উৎপাদিত হয়। পাট উৎপাদিত হয় বাংলাদেশ, চীন ও থাইল্যান্ডে আরো অনেক জায়গায়।
পাট একটি হলো অর্থকরী ফসল। পাট কোমল, লম্বা ও চকচকে উদ্ভিদ। পাট সংগ্রহ করা হয় পুরু সুতা বা সুতা তৈরির জন্য। এ থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র বানানো জায় জামোন ব্যাগ, ড্রয়ার, পর্দা, বস্তা, ঝুড়ি প্যাকিংয়ের জন্য তৈরি করা হয়। পাট গাছ থেকে পাল্প বা মণ্ড তৈরি করা হয়। চেয়ার ও কাগজ এটি থেকে তৈরি করা যেতে পারে। পাটের চাহিদা বর্তমানে দিন দিন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পাটের চাষ করে এখন ব্যাপক অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।